শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১:০৪ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক: ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে পশ্চিমাদের বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞায় রয়েছে রাশিয়া। এসব নিষেধাজ্ঞার মধ্যে রাশিয়া তাদের গ্যাস সরবরাহকে ‘অস্ত্র হিসেবে’ ব্যবহার করছে। ইউরোপীয় দেশগুলোতে রাশিয়ার গ্যাস সরবরাহ বন্ধের পর সমস্যা আরও প্রকট হয়েছে। এই গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক করতে হলে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নকে নর্ড স্ট্রিম ২ পাইপলাইন চালুর ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়ানো নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে হবে বলে জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেছেন, নর্ড স্ট্রিম ২ পাইপলাইন চালুর ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা না তুললে ইউরোপের জ্বালানি সংকটে রাশিয়ার করার কিছু নেই।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উজবেকিস্তানে সাংহাই কোঅপারেশন অরগানাইজেশন (এসসিও) সম্মেলনের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় পুতিন ইউরোপের জ্বালানি সংকটের জন্য তাদের ‘গ্রিন এজেন্ডাকে’ দায়ী করেছেন।
ইউরোপে জ্বালানি সরবরাহে যে বাধ্যবাধকতা রয়েছে, মস্কো তা পূরণ করবে বলেও রুশ প্রেসিডেন্ট আশ্বস্ত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘আসল কথা হচ্ছে, আপনাদের যদি তাগাদা থাকে, যদি আপনাদের খুব কষ্ট হয়, তাহলে নর্ড স্ট্রিম ২ এর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিন, যা দিয়ে প্রতি বছর ৫ হাজার ৫০০ কোটি কিউবিক মিটার গ্যাস সরবরাহ করা যাবে। কেবল বাটন চাপ দিন, সব ঠিকঠাক হয়ে যাবে।’
বাল্টিক সাগরের তলদেশে নর্ড স্ট্রিম ১ এর সমান্তরালে থাকা নর্ড স্ট্রিম ২ পাইপলাইনটি এক বছর আগেই নির্মিত হয়েছিল। রাশিয়া ইউক্রেইনে সেনা পাঠানোর কিছুদিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের চাপে জার্মানি ওই পাইপলাইনটি নিয়ে অগ্রসর না হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
রুশ গ্যাস সরবরাহ কমে যাওয়ায় চলতি বছরের শুরুর তুলনায় ইউরোপের দেশগুলোতে এখন গ্যাসের দাম দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে। বাড়তি এই দাম সাধারণ ইউরোপীয় ভোক্তাদের যেমন ভোগাচ্ছে, তেমনি অনেক শিল্প প্রতিষ্ঠানকেও উৎপাদন বন্ধ করে দিতে হয়েছে।
ইউক্রেইনে মস্কোর ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরুর প্রেক্ষিতে পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞার পাল্টায় রাশিয়া গ্যাস সরবরাহকে ‘অস্ত্র হিসেবে’ ব্যবহার করছে বলে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ইউরোপ অভিযোগ করে আসছে।
অন্যদিকে রাশিয়া বলছে, পশ্চিমারা তাদের ওপর অর্থনৈতিক যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়েছে, আর তাদের দেওয়ার নিষেধাজ্ঞার কারণেই নর্ড স্ট্রিম ১ দিয়ে সরবরাহ কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। চুক্তিতে থাকা মুদ্রায় লেনদেন না করে রুবলে গ্যাসের দাম পরিশোধে অস্বীকৃতি জানানোয় মস্কো এরই মধ্যে বুলগেরিয়া, পোল্যান্ডসহ একাধিক দেশে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে।